কোন কোন খাবার এ এলার্জি আছে

 


খাবারের এলার্জি বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা, যা বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ খাদ্য এলার্জি এবং তাদের কারণ হিসেবে পরিচিত প্রধান খাবারগুলি উল্লেখ করা হলো:

সাধারণ খাবার এলার্জি এবং তাদের কারণ


দুগ্ধজাত দ্রব্য:

দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য (যেমন চিজ, দই, মাখন) সাধারণত এলার্জির কারণ হতে পারে। এই এলার্জি সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে কিছু প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যেও থাকতে পারে।


ডিম:

ডিমের সাদা অংশ এবং কখনও কখনও কুসুম এলার্জির কারণ হতে পারে। ডিমের এলার্জি শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।


বাদাম:

বাদামের এলার্জি খুবই সাধারণ এবং সাধারণত চিনাবাদাম এবং গাছ বাদাম (যেমন আখরোট, আমন্ড) থেকে হতে পারে।


সীফুড:

শেলফিশ (যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার) এবং মৎস্য (যেমন স্যামন, টুনা) থেকে এলার্জি হতে পারে।


গ্লুটেন:

গ্লুটেন এলার্জি গম, বার্লি এবং রাই-এর মত শস্যজাত খাদ্য থেকে হতে পারে। এটি সিলিয়াক রোগের সাথে সম্পর্কিত।


সয়া:

সয়া এবং সয়া সমৃদ্ধ খাবার (যেমন সয়া সস, টোফু) থেকে এলার্জি হতে পারে।


বীজ:

সূর্যমুখী বীজ, তিল বীজ, এবং সরিষা বীজ থেকে এলার্জি হতে পারে।


ফলমূল:

কিছু ফল (যেমন আপেল, পিচ, স্ট্রবেরি) থেকে এলার্জি হতে পারে। এই এলার্জি সাধারণত পোলেন-ফুড সিন্ড্রোমের সাথে সম্পর্কিত।


বিনস:

বিভিন্ন বিনস (যেমন সোয়া বিনস, পিন্টো বিনস, গ্রীন বিনস) থেকেও এলার্জি হতে পারে।


এলার্জির উপসর্গ

ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি বা একজিমা

মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা বা গলার ফুলে যাওয়া

শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বা পেট ফাঁপা

চুলকানি বা ফাটা মুখ


এলার্জি ব্যবস্থাপনা


এলার্জির খাদ্য পরিহার:

যে খাবারে এলার্জি আছে তা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।


খাদ্য লেবেল পড়া:

প্যাকেটজাত খাবারের লেবেল ভালভাবে পড়ুন যাতে এলার্জেন উপাদান আছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেন।


এলার্জির জন্য ওষুধ:

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিহিস্টামিন বা এপিপেন (EpiPen) ব্যবহার করতে পারেন। জরুরি অবস্থায় এপিপেন ব্যবহার করতে হবে।


ডাক্তারের পরামর্শ:

এলার্জি ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করুন।



উপসংহার

খাবার এলার্জি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যা বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এলার্জি সৃষ্টি করা খাবারগুলি সনাক্ত করে এবং তা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জির ঝুঁকি কমানোর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।

Timer code
Unique Code wait
Next Post Previous Post